গেরিলা থেকে সম্মুখ যুদ্ধে. প্রথম খন্ড / মাহবুব আলম
Material type: TextPublication details: Dhaka : Sahitto Prakash, 2007Description: Volume 1 ; 22 cmISBN:- 984701240112
- Transliterated title: Gerila Theke Sommukh Juddhe, Prothom khondo
- 954.92051 22
Item type | Current library | Collection | Call number | Copy number | Status | Date due | Barcode | Item holds | |
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
Books | Library, Independent University, Bangladesh (IUB) General Stacks | Non-fiction | 954.92051 A318g 1992 (Browse shelf(Opens below)) | 01 | Available | 020136 |
Browsing Library, Independent University, Bangladesh (IUB) shelves, Shelving location: General Stacks, Collection: Non-fiction Close shelf browser (Hides shelf browser)
No cover image available | No cover image available | No cover image available | No cover image available | No cover image available | ||||
954.92051 A285b 2009 বঙ্গবন্ধু : কারাজীবন সংগ্রাম স্বাধীনতা / | 954.92051 A285m 2014 মুক্তিযুদ্ধে মঠবাড়িয়া / | 954.92051 A318b 2011 বাঙ্গালীর মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত / | 954.92051 A318g 1992 গেরিলা থেকে সম্মুখ যুদ্ধে. প্রথম খন্ড / | 954.92051 A318t 2006 ত্রিমুখী যুদ্ধ / | 954.92051 A3981n 2008 না বলা কথা / | 954.92051 A3981s 2009 স্বাধীনতা সংগ্রামে বিচ্ছুসেনানী / |
Bangladesh Liberation War 1971
রংপুরের ছেলে মাহবুব আলম রসায়ন শেষ পর্ব পড়া অবস্থায় বেজে উঠে যুদ্ধের দামাম, সময়টা ১৯৭১ইং। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শুরু হয় বাঙালীর মুক্তির সংগ্রাম। আশেপাশের আর সবার সাথে ঘর-বাড়ি ছেড়ে পাড়ি জমায় ভারতে। পরে মাতৃভূমি শত্রুমুক্ত করার প্রত্যয়ে যোগ দেয় মুক্তিবাহিনীতে। যুদ্ধের ট্রেনিং গ্রাউন্ড, প্রাত্যহিক ক্যাম্প জীবনে কঠোর শৃংখলা থেকে শুরু করে ডেমোলেশন স্পেশালিষ্ট গ্রুপের কমান্ডার হিসেবে চাউলহাঠি ইউনিট বেস-এ নিয়োগ। চাউলহাটি ইউনিট বেস এফ এফ ক্যাম্পের গোড়াপত্তন, ভারতীয় মেজর এর কমান্ডে ইউনিটের প্রথম অপারেশনের ব্যার্থতা ঢাকতে বাছাইকৃত ছেলেদের নিয়ে দল গঠন করে পরদিনই অপারেশনের পরিকল্পনা, সীমান্তের ওপারের ক্যাম্প থেকে নিজ দেশে প্রথম অনুপ্রবেশ, গাইড মতির সাহায্যে সফল অপারেশন, পরদিন সকালে তার এই কাজের সীকৃতি হিসেবে চাউলহাঠি ইউনিট বেস এর কমান্ডার বড় ভাই নূরুল হক এর সেকেন্ড ইন কমান্ড পদে পদোন্নতি।ইউনিট বেস ক্যাম্প থেকে একরে পর এক সফল অপারেশন পরিচলনা, দেশের ভিতর থেকে সাধারন মানুষের সাথে মিশে হানাদার বাহিনীকে আঘাত করে ব্যাতিব্যাস্ত রাখার রাখার কৌশল নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রথম হাইড আউট স্থাপন এবং অত্র ইউনিটের প্রথম শহীদ আব্দুল গউস। পরে তার নিজ দায়ীত্বে দুই প্লাটুন পরিমান যোদ্ধা আর সহযোদ্ধা ছোটভাইতুল্য পিন্টু-কে নিয়ে চলে একের পর এক সফল অপারেশন।এভাবেই গল্প এগিয়ে যায়, এরই মধ্যে জনযুদ্ধের অংশ হিসেবে ভারথ সীমান্তের ভিতর এক শ্বরনার্থী পরিবারকে সাহায্যের জন্য নিয়োগ করেন দুজন এফ এফ সম্পূর্ন নিজ দায়ীত্বে, গ্রামের মানুষকে ধান কাটতে দিনের আলোয় পাহারা বসিয়ে তাদের ফসল ঘরে তুলতে সাহায্য করেন। গ্রামের মানুষদের ছোট-খাট বিবাদ মিটিয়ে দেন। অপর্যাপ্ত গোলা-বারুদ,রেশন, লোকবল সহ নানা সমস্যা যর্থার্থভাবে ফুটে উঠেছে তার লেখায়, ভারতীয় সেনাকর্মকর্তার অধীনে যুদ্ধ,নেই প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের সাথে কোন যোগাযোগ। মাঝে মাঝে শহীদ আ: গউসের বড় ভাই (যিনি আওয়ামীলিগের একজন কর্মী ছিলেন) কিছু সাহায্য সহযোগীতা করতেন।এরই মধ্যেই হঠাৎ ইউনিট হেড কোয়ার্টার থেকে ডাক আসে, আসে নতুন পরিকল্পনা, যেতে হবে নতুন ফ্রন্টে। এই ফ্রন্টের দ্বায়ীত্ব পিন্টুকে দিয়ে রিপোর্ট করেন হেড-কোয়র্টার-এ। আর এভাবেই সমাপ্তি ঘটে প্রথম পর্বের। এই বইয়ের গল্প কোন গল্প নয়, লেখকের দায়ব্ধতার বর্হিপ্রকাশ, এটা যুদ্ধকালীন সময়ে লেখা লেখকের ডায়েরীর সংঘটিত রূপ বলা যায়, যা ইতিহাসের অনবদ্য উপাদান। এখানে প্রতিটি যুদ্ধের পরিকল্পনা,সমরাস্ত্র,লোকবল,অবস্থান নকশা, গাইড, মিত্রপক্ষ, রাজাকার, শত্রুসেনা, লক্ষবস্তু, সফলতা, ব্যার্থতা, অন্তর্নিহিত কার্যকারন এত নিঁখুতভাবে বর্ননা করা হয়েছে যে মনে হবে পাঠক স্বয়ং যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্তিত।